নারীদের সাদাস্রাব সমস্যার ঘরোয়া সমাধান ! জেনে নিন চিকিৎসকের পরামর্শ !
সাদাস্রাব হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ হল অপরিষ্কার থাকা, পিরিয়ডের সময় দীর্ঘক্ষণ প্যাড বা ন্যাপকিন পরে থাকা এবং দেহে রক্তশূন্যতা ও ডায়াবেটিস থাকলেও সাদাস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় এই সমস্যাটি কোন কারণ ছাড়াও হতে পারে এবং তখন যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি, চুলকানি ও গন্ধ হয়ে থাকে। অধিকাংশ নারীরাই এই সমস্যার কথা ডাক্তারকে বলতে লজ্জা পেয়ে থাকেন। যারা লজ্জা পেয়ে থাকেন এই পোস্টটি তাদের জন্য।
কলা –
সাদাস্রাব সমস্যা রোধ করার জন্য কলা খুব ভালো কাজ করে। এই ফলটি হজমশক্তির সমস্যাও রোধ করে থাকে।
– প্রতিদিন দুটো পাকা কলে খেয়ে নিন সাদাস্রাব সমস্যা রোধ করার জন্য।
– কলার মোচার জুস বানিয়ে তার সাথে মিছরি মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।
ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন এই দু’টি নিয়ম পালন করুন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার –
সাদাস্রাব রোধ করতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খুব উপকারী। এটি দেহের প্রাকৃতিক পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহয়তা করে। এবং এটির এসিডিক ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যৌনাঙ্গের এসিডিক মান ঠিক রাখে ও অন্যান্য সমস্যা রোধ করে।
– পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি নিয়ে তার সাথে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। তারপর সেই পানি দিয়ে প্রতিদিন দুবার যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করুন।
– আপনি চাইলে একগ্লাস বিশুদ্ধ পানির সাথে ১ চামচ খাঁটি অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন ১ বার পান করুন।
ঢেঁড়স –
ঢেঁড়স মূলত একটি সুস্বাদু সবুজ সবজি এবং সাদাস্রাব সমস্যা রোধ করতে সহায়ক। তাছাড়া ঢেড়স দেহের ভেতর থেকেই সাদাস্রাবের সমস্যা রোধ করে ও যৌনাঙ্গের যেকোন সমস্যা রোধ করে থাকে।
– একশত গ্রাম ঢেড়স নিয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে কেটে নিন।
– পরিমাণ মতো পানি নিয়ে ঢেড়সগুলো ২০ মিনিট সিদ্ধ করে নিন।
– এই পানীয়টি ৩ ভাগ করে নিন।
– পানীয়টি একটি গ্লাসে পরিমাণ মতো নিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। এভাবে দিনে ৩ বার পান করুন।
সাদাস্রাব সমস্যা পুরোপুরি রোধ না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতিটি মেনে চলুন
সবাই এখন যা পড়ছে :-
খুব বেশি পর্ন দেখেন? জানেন কী ক্ষতি করছেন নিজের!
ব্যস্ত জীবনের মধ্যে পর্ন দেখার জন্য অনেকেই সময় বের করে নেন। অনেকেই দিনান্তে পর্ন দেখেন সাময়িক আনন্দলাভের আশায়। কিন্তু জানেন কি, বেশি মাত্রায় পর্ন দর্শন কতটা সর্বনাশ করছে আপনার? সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত পর্ন দেখেন, তাঁরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। পৃথিবীর একাধিক দেশের পুরুষ, নারীর উপর এই সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে ভয়ঙ্কর সব সমস্যার জন্ম দিচ্ছে এই অভ্যাস। মানসিক বিকৃতির জন্ম দেয়। অতিরিক্ত পর্ন মস্তিস্কের উপর চাপ ফেলে। স্বাভাবিক বিচক্ষণতা লুপ্ত হতে থাকে। বাস্তব থেকে দূরে সরিয়ে দেয় মানুষকে। বাস্তব এবং অবাস্তবের মধ্যে এক অদ্ভুত গুলিয়ে দেওয়া পরিস্থিতি তৈরি করে।
ক্রমশ নিজের ব্যক্তিগত আবেগ, ইমোশনের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে। হঠাৎ রেগে যাওয়াও এক অন্যতম লক্ষণ। সর্বোপরি একটা সুস্থ জীবন থেকে আপনাকে ক্রমশ দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে আপনার পর্ন-দর্শন। শুধু জীবনসঙ্গী নয়, সন্তানদের থেকেও দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে আপনাকে। কারণ অতিরিক্ত পর্ন দেখলে পৃথিবীর স্বাভাবিক, নিষ্পাপ আনন্দ আপনি উপভোগ করতেই ভুলে যাবেন ধীরে ধীরে। ব্যক্তিগত জীবন অসুখী করে তোলে। সঙ্গীকে সুখী করা বা সঙ্গীর থেকে আনন্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় আপনার এই অভ্যাস।