চর্বিযুক্ত মাছ উপকারী নাকি ক্ষতিকর? জেনে নিন ডাক্তার কি বলে!
মাছ তাজা হতে হবে। মাছে একটুও চর্বি থাকা চলবে না। এমনটাই ধারণা কিছু সংখ্যক মানুষের। বহু মানুষই এমন আছেন, যাঁরা চর্বিযুক্ত মাছকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। যাঁরা মনে করেন, চর্বিযুক্ত মাছ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, চর্বিযুক্ত মাছের কোনও উপকারিতা নেই, তাঁরা জেনে নিন কী কী উপকারী গুণাগুণ রয়েছে চর্বিযুক্ত মাছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, চর্বিযুক্ত মাছে অনেক উপকারী গুণাগুণ রয়েছে। চর্বিযুক্ত মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা থ্রি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ক্যানসার প্রতিরোধ করে। রোগগুলির ঝুঁকিও কম করে।
বিভিন্ন কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগ প্রতিরোধ করতে পারে চর্বিযুক্ত বা তৈলাক্ত মাছ। মানসিক চাপ কম করে হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
রিউমাটয়েড আর্থারাইটিসের সম্ভাবনা কম করে চর্বিযুক্ত মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
স্মৃতিভ্রংশ প্রতিরোধ করে।
মুখ এবং ত্বকের ক্যানসার প্রতিরোধ করে তৈলাক্ত মাছ ।
ছোট বয়স থেকে স্যামন মাছ খেলে হাঁপানির ঝুঁকি কম হয়।
দৃষ্টিশক্তি এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে সমস্ত নারীরা নিয়মিত চর্বিযুক্ত বা তৈলাক্ত মাছ খেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে স্তন ক্যানসার -এর সম্ভাবনা কম হয়েছে।
সবাই এখন যা পড়ছে :-
অস্বস্তিকর হেঁচকি? দৌড়ে পালাবে ! জেনে নিন ঘরোয়া কিছু টিপস !
হেঁচকি এমন একটি অস্বস্তিকর সময় যখন আমাদের আর কিছুই ভালো লাগে না। এই হেঁচকি কমাতে আমরা যে কত কিছুই করে থাকি। অতিরিক্ত পানি বা খাবার খেলেই এই হেঁচকি উঠতে শুরু করে। আর তখন বাড়ে অস্বস্তি বেড়ে যায়। ব্যথা করতে থাকে ঘাড় এবং মাধা। যতক্ষণ না কমছে এই হেঁচকি ততক্ষণ রয়ে যায় অস্বস্তি। আর তাই আজ আমরা জেনে নেই এই হেঁচকি থেকে বাঁচার ৯টি ঘরোয়া টোটকা।
হেঁচকি কমাতে খেতে পারেন লেবু। দেখবেন খুব সহজেই কমে গেছে হেঁচকি। অনেক সময়ে এসিডিটি থেকে হেঁচকি হয়। তখন প্রচুর পরিমাণে পানি খান। আর এর সাথে নিতে পারেন এসিডিটির ওষুধ। এই হেঁচকির সময়ে যদি আপনাকে কেউ ভয় দেখান আর তাতে আপনি ভয় পেলে দেখবেন হঠাৎই কমে গিয়েছে হেঁচকি। এই হেঁচকি কমাতে পানি দিয়ে গার্গেল করুন। দেখবেন খুব সহজেই কমে গেছে আপনার হেঁচকি। একটু দূরত্ব রেখে পানি পান করতে থাকুন। একসময় দেখবেন কমে গিয়েছে আপনার এই অস্বস্তি। লবণের রয়েছে নিজস্ব এক গন্ধ। আর এই গন্ধ আপনাকে পরিত্রাণ দিতে পারে এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে। আর তাই শুঁকুন লবণের গন্ধ। এটি আসলে আদি একটি উপায়। আর এই উপায়ে মিলবে স্বস্তি। হাতে আকুপ্রেশারের মাধ্যমেও কমে যায় হেঁচকি। নাক ধরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখুন। এই পদ্ধতি দিবে আপনাকে আরাম। যতক্ষণ না কমে হেঁচকি নিতে থাকুন এই পদ্ধতি।
চোরাবালি কি এবং এর থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন !
চোরাবালির কথা হয়তো অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু এই চোরাবালির খপ্পড়ে যারা পড়েছেন কেবল তারাই জানেন এটি কতটা ভয়ংকর।
চোরাবালিতে আটকে গেলে যা করতে হবে : চোরাবালিতে আটকে গেলে একদমই অধৈর্য হওয়া যাবে না। অধৈর্য হয়ে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করলে আরও বেশি আটকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সবার মনে রাখা উচিত, চোরাবালি কিন্তু পানির চেয়ে অনেক বেশি ঘন। তাই চোরাবালিতে ভেসে থাকা পানির চেয়ে অনেক বেশি সহজ। যদি সঙ্গে কোনও ভারি বস্তু থাকে তাহলে তা ছেড়ে ফেলতে হবে। কারণ ভারি বস্তু আরও বেশি দ্রুত নিচে টেনে নিতে পারে। বেশিরভাগ চোরাবালির গভীরতা কম হয়। খানিকটা ডোবার পর হয়তো পা তলায় আটকে যেতে পারে। যদি তা না হয়, মানে যদি চোরাবালি খুব গভীর হয় তাহলে পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে যেমন পানিতে আমরা যেভাবে সাঁতার কাটি, ঠিক সেভাবে নিজের শরীরকে যতটা সম্ভব অনুভূমিক করে ফেলতে হবে। তারপর খুব ধীরে ধীরে সাঁতরে চোরাবালির বাইরে আসার চেষ্টা করতে হবে। সাথে যদি অন্য কোনও ব্যক্তি থাকে তাহলে তাকে বলতে হবে নিরাপদ দূরত্ব থেকে রশি ফেলতে এবং এই রশি ধরে ধীরে ধীরে চোরাবালি থেকে উঠে আসা যাবে।