দেড় মিনিটের সচেতনতায় কমবে রাতের স্ট্রোক ! জেনে নিন
অনেক সুস্থ মানুষই ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে গেলেন বা ঘুম থেকে উঠে দাঁড়ালেন আর স্ট্রোক করে মুত্যুর কোলে ঢলে পারলেন। প্রায়ই আমরা এমন খবর শুনে থাকি। মাত্র দেড় মিনিট সচেতন হয়ে চললে এ স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে অনেকাংশেই বাঁচা যায়।
রাতে বা ভোরে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠার জন্য ডাক্তারদের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ হলো –
আমরা প্রায়ই শুনতে পাই একেবারে সুস্থ একজন মানুষ রাতের বেলা হঠাৎ মারা গেছেন। এটার একটা কারণ হচ্ছে রাতে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘুম ভেঙে গেলে আমরা তাড়াহুড়ো করে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে পড়ি। যা ব্রেইনে রক্তের প্রবাহ কমিয়ে দেয়। এটা আপনার ইসিজি প্যাটার্নও বদলে দেয়। হুট করে ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়ার কারণে আপনার ব্রেইনে সঠিক ভাবে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, যার ফলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনাও। ডাক্তাররা ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাওয়ার আগে সবাইকে ‘দেড় মিনিট’ সময় নেওয়ার একটি ফর্মুলা আবিস্কার করেছেন। এ দেড় মিনিট সময় নেওয়াটা জরুরি কারণ এটা কমিয়ে আনবে আপনার আকস্মিক মৃত্যুর শঙ্কা।
হঠাৎ এ উঠে পড়ার সময়ে যেই দেড় মিনিটের ফর্মুলা বাঁচিয়ে দিতে পারে আমাদের জীবন তা হলো-
যখন ঘুম থেকে উঠবেন, হুট করে না উঠে কমপক্ষে ৩০ সেকেন্ড বিছানায় শুয়ে থাকুন।
এরপর উঠে ৩০ সেকেন্ড বিছানায় বসে থাকুন। এবং
শেষ ৩০ সেকেন্ড বিছানা থেকে পা নামিয়ে বসে থাকুন।
এ দেড় মিনিটের কাজ শেষ হবার পর আপনার ব্রেইনে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছে যাবে যা আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি একদম কমিয়ে আনবে। যেকোনো বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এ অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা প্রয়োজন।
সবাই এখন যা পড়ছে :-
অস্বস্তিকর হেঁচকি? দৌড়ে পালাবে ! জেনে নিন ঘরোয়া কিছু টিপস !
হেঁচকি এমন একটি অস্বস্তিকর সময় যখন আমাদের আর কিছুই ভালো লাগে না। এই হেঁচকি কমাতে আমরা যে কত কিছুই করে থাকি। অতিরিক্ত পানি বা খাবার খেলেই এই হেঁচকি উঠতে শুরু করে। আর তখন বাড়ে অস্বস্তি বেড়ে যায়। ব্যথা করতে থাকে ঘাড় এবং মাধা। যতক্ষণ না কমছে এই হেঁচকি ততক্ষণ রয়ে যায় অস্বস্তি। আর তাই আজ আমরা জেনে নেই এই হেঁচকি থেকে বাঁচার ৯টি ঘরোয়া টোটকা।
হেঁচকি কমাতে খেতে পারেন লেবু। দেখবেন খুব সহজেই কমে গেছে হেঁচকি। অনেক সময়ে এসিডিটি থেকে হেঁচকি হয়। তখন প্রচুর পরিমাণে পানি খান। আর এর সাথে নিতে পারেন এসিডিটির ওষুধ। এই হেঁচকির সময়ে যদি আপনাকে কেউ ভয় দেখান আর তাতে আপনি ভয় পেলে দেখবেন হঠাৎই কমে গিয়েছে হেঁচকি। এই হেঁচকি কমাতে পানি দিয়ে গার্গেল করুন। দেখবেন খুব সহজেই কমে গেছে আপনার হেঁচকি। একটু দূরত্ব রেখে পানি পান করতে থাকুন। একসময় দেখবেন কমে গিয়েছে আপনার এই অস্বস্তি। লবণের রয়েছে নিজস্ব এক গন্ধ। আর এই গন্ধ আপনাকে পরিত্রাণ দিতে পারে এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে। আর তাই শুঁকুন লবণের গন্ধ। এটি আসলে আদি একটি উপায়। আর এই উপায়ে মিলবে স্বস্তি। হাতে আকুপ্রেশারের মাধ্যমেও কমে যায় হেঁচকি। নাক ধরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখুন। এই পদ্ধতি দিবে আপনাকে আরাম। যতক্ষণ না কমে হেঁচকি নিতে থাকুন এই পদ্ধতি।
চোরাবালি কি এবং এর থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন !
চোরাবালির কথা হয়তো অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু এই চোরাবালির খপ্পড়ে যারা পড়েছেন কেবল তারাই জানেন এটি কতটা ভয়ংকর।
চোরাবালিতে আটকে গেলে যা করতে হবে : চোরাবালিতে আটকে গেলে একদমই অধৈর্য হওয়া যাবে না। অধৈর্য হয়ে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করলে আরও বেশি আটকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সবার মনে রাখা উচিত, চোরাবালি কিন্তু পানির চেয়ে অনেক বেশি ঘন। তাই চোরাবালিতে ভেসে থাকা পানির চেয়ে অনেক বেশি সহজ। যদি সঙ্গে কোনও ভারি বস্তু থাকে তাহলে তা ছেড়ে ফেলতে হবে। কারণ ভারি বস্তু আরও বেশি দ্রুত নিচে টেনে নিতে পারে। বেশিরভাগ চোরাবালির গভীরতা কম হয়। খানিকটা ডোবার পর হয়তো পা তলায় আটকে যেতে পারে। যদি তা না হয়, মানে যদি চোরাবালি খুব গভীর হয় তাহলে পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে যেমন পানিতে আমরা যেভাবে সাঁতার কাটি, ঠিক সেভাবে নিজের শরীরকে যতটা সম্ভব অনুভূমিক করে ফেলতে হবে। তারপর খুব ধীরে ধীরে সাঁতরে চোরাবালির বাইরে আসার চেষ্টা করতে হবে। সাথে যদি অন্য কোনও ব্যক্তি থাকে তাহলে তাকে বলতে হবে নিরাপদ দূরত্ব থেকে রশি ফেলতে এবং এই রশি ধরে ধীরে ধীরে চোরাবালি থেকে উঠে আসা যাবে।